কটিয়াদী উপজেলার অবস্থান ও আয়তনঃ – রাজধানী ঢাকা হতে প্রায় ৯৪ কিঃ মিঃ উত্তর পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২৬ কিঃ মিঃ দক্ষিনে প্রাচীন মধ্য ও আধুনিক যুগকে ধারন করে উজ্বল উপস্থিতি আজ ঘোষনা করেছে কটিয়াদী উপজেলা ।
কটিয়াদী উপজেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর , পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর ও নিকলী , দক্ষিণ ও দক্ষিন পশ্চিমে নরসিংদী জেলার মনোহরদী , দক্ষিণ পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর এবং পশ্চিমে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত । কটিয়াদী উপজেলায় বর্তমানে ১৫৫ টি গ্রাম এবং ৯৭ টি মৌজা রয়েছে । ০১ টি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত এ উপজেলার আয়তন ২২১.৮৮ বর্গ কিঃ মিঃ ।
কটিয়াদী নামকরনঃ- কটিয়াদী নামকরনের ব্যাপারে বিভিন্ন জনশ্রুতি রয়েছে । কেউ বলেন প্রাচীন আমলে আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরে আসন গড়েছিলেন ‘‘ কটি ফকীর ‘’ নামে এক কামেল দরবেশ । কথিত আছে এই কটি ফকীর আধ্যাতিক সাধনের মাধ্যমে মানুষের উপকার করতেন । এই কটি ফকিরের নামানুসারেই কটিয়াদী নামের উৎপত্তি । আবার কেউ বলেন কটিয়াদী ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে ইংরেজ সাহেবদের অনেক গুলো নীল কুটির ছিল । নীল কর সাহেবদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কেনা কাটার জন্য আড়িয়াল খাঁ নদের উত্তর পাড়ে গড়ে উঠে ছোট্র একটি বাজার। এই নীল কুঠির কুঠে থেকে কঠিয়াদী পরবর্তীতে কটিয়াদী নামে পরিচিত ।
আবার কেউ কেউ কটিয়াদী নামকরনের ব্যাপারে অন্য মত পোষন করেছেন । শতাব্দীর অন্তরালে সন্থে কবি আবদুল হান্নান উল্লেখ করেছেন আজ থেকে আটশত বছর পূর্বে এগারসিন্ধুরের প্রাচীন ইতিহাস সামন্ত কোচ রাজাদের মধ্যে বেবোধী নামে এক রাজার নাম রয়েছে । তিনি অত্যান্ত সম্মানীত রাজা ছিলেন । রেবোধী শব্দটির শেষ অংশটা ধী দ্বারা পূর্ণ । আর এই ধী বা দি শব্দটির বহুল প্রচলন দেখা যায় বিভিন স্থান ও নামের পার্শ্বে । সেকালে ও সম্মান সূচক অর্থে এই দীর ব্যবহার ছিল । কিংবা সুন্দরের প্রতিক ছিল । এমন ও হতে পারে কটি ফকীর বেরোধী রাজার অত্মীয় বা উত্তর সূরী হিসাবে তার নামের সাথে প্রথম শব্দ কটি এবং রাজার ধী উপাধী সংযুক্ত করে কটিধী থেকে পরবর্তীতে কটিয়াদী নামকরন হয়েছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস